ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ

২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত-পরিবেশ উপদেষ্টা

  • আপলোড সময় : ০৯-১০-২০২৪ ১২:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-১০-২০২৪ ১২:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত-পরিবেশ উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিন দ্বীপে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা, দ্বীপে রাত্রিযাপন এবং পর্যটকের সংখ্যা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪’ এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান। গত সোমবার আপনারা সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে কী কী সুপারিশ এসেছে- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সেখানে যারা হোটেল ও জাহাজ চালান তারা একমত হয়েছেন যে, সেখানে একবার ব্যবহারযোগ্য কোনো প্লাস্টিক ঢুকতে দেওয়াই উচিত নয়। কেউ কেউ এমনও বলেছেন যে, চানাচুর, চিপস, আচার- এগুলো ওখানে ঢুকতে দেওয়াই উচিত না। উপদেষ্টা বলেন, তাদের সঙ্গে আরেকটা আলোচনা হয়েছে, সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত কিন্তু সেগুলো কেন বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা যদি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই তাহলে সেখানে তাদের বক্তব্য কি? তারা আমাদের বলেছেন, তাদের যে বাকি সদস্য রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানাবেন। তারা বলেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে আগের সরকার একতরফাভাবে ওই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল। যোগ করেন উপদেষ্টা। সৈয়দা রিজওয়ান আহসান বলেন, আমরা তাদের বলেছি, সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতে থাকতে দেওয়া যাবে না, সিদ্ধান্ত ছিল নির্দিষ্ট সংখ্যকের বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না- এখানে তাদের বক্তব্য কী? তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু সংখ্যাটা কী হবে, সেটা তারা তাদের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানাবেন। পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বলেন, পর্যটন বিভাগেরও এ বিষয়ে বক্তব্য আছে। জাহাজ যারা চালান তাদেরও একটা বক্তব্য আছে। আমরা হোটেল মালিক ও সেখানকার জাহাজ মালিকদের মতামত আমরা পাবো। সেখানে পর্যটকদের রাত্রিযাপন এবং পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে তারা তাদের মতামত আমাদের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জানাবেন। এরপর সরকারি সংস্থার সঙ্গে কথা বলে আশাকরি ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিনের ব্যাপারে আমাদের কর্মপরিকল্পনাটা আমরা নিতে পারবা, যোগ করেন উপদেষ্টা। সেন্টমার্টিনে প্রচুর কুকুর আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কুকুর নিয়ে যে বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলো কাজ করে তারা ওখানে গিয়ে কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজ শুরু করলে তারা (হোটেল মালিকরা) সহযোগিতা করবেন। এদিকে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে বাগেরহাটে গড়ে ওঠা রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূষণ সীমার মধ্যে রয়েছে কি না, সরকার নিরপেক্ষভাবে তা মূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সুন্দরবন যে হুমকিতে রয়েছে সে বিষয়ে কি কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সুন্দরবনের হুমকি বাস্তবতা থেকে সরে যায়নি। এটা নিয়ে দুটো পর্যায়ে কাজ করা প্রয়োজন, আমরা কাজ শুরু করেছি। ইউনেস্কোর কাছে আমাদের একটা স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্ট অ্যাসেসমেন্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। সেটা বিগত সরকার জমা দিয়েছে। সেখানে ইউনেস্কো আপত্তি দিয়েছে, যে এলাকাটা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে রক্ষিত এলাকাটা অনেকাংশেই বাদ দিয়েছে। এখন সেই অ্যাসেসমেন্ট আবার নতুন করে ইউনেস্কোর অবজারভেশনের আলোকে আমাদের দেখতে হচ্ছে। যাতে সুন্দরবনের পুরো এলাকা থেকে কোনো রক্ষিত জায়গা বাদ না দেই। তিনি বলেন, হয়ত বিগত সরকার ঝুঁকি কম দেখাতে পুরো রক্ষিত এলাকাকে কম দেখিয়ে অন্য জায়গা বেশি দেখিয়েছেন। আর জাতীয় পর্যায়ে যে কাজ করা হচ্ছে, সেটা হচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যে দূষিত বায়ু বা ধোঁয়া বের হওয়ার ফলে বায়ুদূষণ হচ্ছে, সেটা আমরা নিরপেক্ষভাবে মনিটর করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, সব সময়তো আমরা মনিটর করে বলে দেই, ধলেশ্বরীর পানি পরিষ্কার, ট্যানারি নোংরা করেনি। রামপালের বাতাস খুব পরিষ্কার, সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। কিন্তু সেখানে যারা থাকে তারা কিছু অসুবিধার কথা বলছেন। ফলে যে ডিসচার্জটা (নিঃসরণ) হচ্ছে সেটা আসলে আইনের সীমার মধ্যে আছে কি না, সেটা দেখতে হবে। এজন্য আমরা একটা নিরপেক্ষ অ্যাসেসমেন্টের কাজ শুরু করেছি। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আপনারা জানেন জাতীয় পরিবেশ কমিটির সভায় রামপালকে কেন্দ্র করে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি ভারীশিল্প গড়ে উঠেছে। যেগুলোর অনেকটাই লাল তালিকাভুক্ত ছিল। কিন্তু সেটা জাতীয় পরিবেশ কমিটির একটি সভায় লালকে কলমের খোঁচায় হঠাৎ সবুজ করে দেওয়া হয়েছে। সেটা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা আবার পর্যালোচনা করে সেই সব ভারী শিল্প আদৌ লাল বা সবুজ হওয়ার যোগ্যতা রাখে কি না! নাকি লালে আবার ফেরত নিতে হবে, নাকি কমলা খাতে নিতে হবে সেই কাজটি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স